নিজস্ব প্রতিবেদক :
অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম। যেকারণে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪৮ ঘন্টায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন মামলার ২০ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। যার মধ্যে সর্বোসংখ্যক আসামী উপজেলার বগুড়া ইউনিয়ন থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় থানার এসআই সাজ্জাদুর রহমানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স গ্রেফতার অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, বগুড়া ইউনিয়নে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার ধরেই অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেও সংঘর্ষ হয়েছে। যেকারনে তাদের নামে মামলা হয়। সেই মামলায় মূলত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীরা হলো-
উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের আলফাপুর গ্রামের আরব আলী লস্করের ছেলে বাবু লস্কর(৩২), লিয়াকত আলী মোল্লার ছেলে শাহীন মোল্লা(৩৫), আহাতাপের ছেলে জামিরুল ইসলাম(৪২), আব্দুল কুদ্দুস মোল্লার ছেলে আব্দুর রহমান মোল্লা(৩৮), মৃত বারেক মিয়ার ছেলে জিন্নাহ মিয়া(৪৫), সোনা মোল্লার ছেলে লুৎফর মোল্লা (৪০), মোয়াজ্জেম মোল্লা(৪৫), সিরাজ মোল্লার ছেলে আবু বক্কর (৫৬), কাকুড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের আনাউদ্দীণের ছেলে সাইদুল ইসলাম, পৌর এলাকার কবিরপুর গ্রামের ইউনুস শেখের ছেলে রাজু শেখ(২৫), ধলরাহচন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামের মৃত গোলাম আলীর ছেলে রফিক মোল্লা, মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আবজাল হোসেনের ছেলে কাবিল হোসেন(৪৫), শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত বারেক আলীর ছেলে ফজলুর রহমান (৬৫), কালা বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস ও ফজলুর রহমানের স্ত্রী মালিকুন বেগম ও বৃত্তিদেবি রাজনগর গ্রামের শাহীন আক্তারের স্ত্রী নাসিমা খাতুন।
এছাড়া নিয়মিত মামলার আসামীরা হলো-বগুড়া ইউনিয়নের দলিলপুর গ্রামের মৃত লিয়াকত শেখের ছেলে আলমাস হোসেন (২৭), মনোয়ার শেখের ছেলে বশির শেখ(৪০), বারিক মোল্লার ছেলে ওয়াসিম মোল্লা (৩০)। অপরদিকে ছাগল চুরির অপরাধে “ওয়ান ফিফটি ওয়ান” ধারায় চুয়াডাঙ্গা জেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে রনি হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আমিনুল ইসলাম গ্রেফতার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উপজেলাকে অপরাধমুক্ত ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো জানান, চুরি, ছিনতাই ডাকাতিসহ কিশোর গ্যাং রুখতে আইনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে। শৈলকুপা উপজেলার মানুষকে শান্তিতে রাখতে যা যা করার প্রয়োজন তিনি তাই করবেন বলেও উল্লেখ করেন।