আমরা সকলেই আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য নিয়ামতরাজির মধ্যে ডুবে রয়েছি। এ সমস্ত নিয়ামতের মধ্যে সুস্থতা একটি বড় নিয়ামত। প্রতিটা নিয়ামতের
মূল্য আমরা সেই সময় উপলব্ধি করতে পারি, যখন আমাদের থেকে আল্লাহ তায়ালা সেই নিয়ামতটা ছিনিয়ে নেন। অনুরূপ সুস্থতা নিয়ামতের মূল্য তখন বুঝে আসে, যখন আমরা অসুস্থ হই।
তাই তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে সুস্থতার নিয়ামতকে গণীমত মনে করতে বলেছেন:” তোমরা ৫টি অবস্থায় পতিত হওয়ার পূর্বেই পাঁচটি জিনিসকে গণীমত বা মূল্যায়ন করো।
১. বার্ধক্যের পূর্বে যৌবনকে।
২.অসুস্থতার পূর্বে সুস্থতাকে।
৩.দারিদ্রতার পূর্বে সচ্ছলতাকে।
৪.ব্যস্ততার পূর্বে অবসরতাকে।
৫.মৃত্যুর পূর্বে জীবনকে। ( মুসতাদরাক হাকিম ৭৯১৬)
সুস্থতা যেহেতু একটি বড় নিয়ামত। আর প্রতিটা নিয়ামতের দাবী হলো তার যথাযথ কদর বা মূল্যায়ন করা। সুতরাং আমাদের উচিত আল্লাহ তায়ালার নিকট শুকরিয়া আদায় করার।
আল্লাহ তায়ালা সূরা ইবরাহীমের ৭নং আয়াতে বলেন :
” যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো, তাহলে আমি তোমাদেরকে অবশ্যই আরো বৃদ্ধি করে দিব। আর যদি অকৃতজ্ঞ হও তাহলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে বড়ই কঠোর”।
তাই আসুন!
সুস্থতার নিয়ামতকে গণীমত মনে করে তার মূল্যায়ন করি। জীবনপ্রদীপ নিভে যাওয়ার পূর্বেই পরকালীন পাথেয় সংগ্রহ করি। রবের সামনে দাঁড়িয়ে কি জবাব দিব,তার উত্তর আগে থেকেই হল করে রাখি। না হলে সেদিন আফসোস করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না আমাদের। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাঁর দ্বীনের পথে পরিপূর্ণভাবে চলার তাওফিক দিন। (আমীন)
লেখক : মুহা: আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঝিনাইদহ।